• ১৪ কার্তিক ১৪৩২, সোমবার ০৩ নভেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Jhulan Goswami

খেলার দুনিয়া

মরণবাঁচন ম্যাচের সামনে মিতালিরা, ভারত কি পারবে সেমিফাইনালে যেতে?‌

মহিলাদের বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের ছাড়পত্র কি পাবে ভারত? মিতালি রাজদের ভবিষ্যত এখন নিজেদের হাতে। রবিবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে লিগ পর্যায়ের শেষ ম্যাচ খেলতে নামছে ২০১৭ বিশ্বকাপের রানার্সরা। সেফিফাইনালের টিকিট পেতে গেলে জেতা ছাড়া রাস্তা নেই ভারতীয় দলের সামনে। হারলে কিংবা পয়েন্ট ভাগাভাগি হলেও মিতালি রাজদের সামনে সেমিফাইনালে যাওয়ার সুযোগ থাকবে। সেক্ষেত্রে ভারতের সামনে এসে পড়বে অনেক জটিল অঙ্ক। ভারতীয় শিবির অবশ্য কোনও জটিল অঙ্কের সামনে যেতে চায় না। লক্ষ্য, প্রোটিয়াদের হারিয়েই সেমিফাইনালের টিকিট জোগাড় করা। ৭ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষে থেকে ইতিমধ্যেই সেমিফাইনালে পোঁছে গেছে অস্ট্রেলিয়া। ৬ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট দক্ষিণ আফ্রিকার। দ্বিতীয় স্থান নিশ্চিত করে তারাও সেমিফাইনালের টিকিট পেয়ে গেছে। বাকি দুটি জায়গার জন্য লড়াই ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ইংল্যান্ড ও ভারতের মধ্যে। ৭ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে এই মুহূর্তে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ক্যারিবিয়ানরা। ভারত ও ইংল্যান্ডের পয়েন্ট ৬। নেট রান রেটে এগিয়ে থাকার সুবাদে ইংল্যান্ড (+০.৭৭৮) রয়েছে চতুর্থ স্থানে। ভারত (+০.৭৬৮) রয়েছে পঞ্চম স্থানে। ভারত যদি শেষ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারায় তাহলে সেমিফাইনালে পৌঁছে যাবে। কারণ সেক্ষেত্রে পয়েন্টের বিচারে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে টপকে যাবে। ভারত হারলেও সেমিফাইনালের টিকিট পেতে পারে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের কাছে জঘন্যভাবে হারতে হবে গতবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে। ভারতদক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ ভেস্তে গেলেও মিতালি রাজদের সামনে সেমিফাইনালে খেলার সুযোগ এসে যাবে। ম্যাচ ভেস্তে গেলে ভারতের পয়েন্ট হবে ৭। ওয়েস্ট ইন্ডিজেরও পয়েন্ট ৭। নেট রানরেটে ক্যারিবিয়ানদের (-০.৮৯০) থেকে এগিয়ে ভারত (+০.৭৬৮)। বোলিং নিয়ে চিন্তা না থাকলেও ভারতের মূল সমস্যা ব্যাটিং। টপ ও মিডল অর্ডারদের ব্যাটাদের ধারাবাহিকতার অভাব। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে জিততে গেলে স্মৃতি মান্ধানা, মিতালি রাজদের রান পেতে হবে। বড় জুটি গড়ে তুলতে হবে ভারতকে। সেই কথাই শোনা গেছে ভারতীয় দলের ওপেনার শেফালি ভার্মার মুখে। মরণবাঁচন ম্যাচে নামার আগে তিনি বলেন, আমাদের সামনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। দলের প্রত্যেকেই সেটা জানে। সবাই ১০০ শতাংশ দেওয়ার জন্য মুখিয়ে রয়েছে। জিততে গেলে আমাদের বড় জুটি তৈরি করতে হবে।

মার্চ ২৬, ২০২২
খেলার দুনিয়া

‌মাইলস্টোনের ম্যাচে ব্যর্থ ঝুলন, অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে সেমিফাইনাল কঠিন করে তুলল ভারত

মহিলাদের বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে যাওয়ার জন্য অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভারতের ম্যাচ ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জিতলেই সেমিফাইনাল অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যেত। কিন্তু টানটান উত্তেজনার ম্যাচে অসিদের কাছে ৬ উইকেটে হেরে সেমিফাইনালে যাওয়ার রাস্তা কঠিন করলে তুললেন মিতালি রাজরা। পরিস্থিতি এমন, সেমিফাইনালে যেতে গেলে শেষদুটি ম্যাচে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে শুধু হারালেই হবে না, নেট রানরেটেও এগিয়ে থাকতে হবে।অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে এদিন টস জিতে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠায় অস্ট্রেলিয়া। শুরুটা ভাল হয়নি ভারতের। ৬ ওভারের মধ্যেই হারায় দুই ওপেনারকে। চতুর্থ ওভারের প্রথম বলেই ডার্সি ব্রাউন তুলে নেন স্মৃতি মান্ধানাকে (১০)। ষষ্ঠ ওভারের শেষ বলে ফেরান আর এক ওপেনার শেফালি ভার্মাকে (১২)। মনে হচ্ছিল এদিনও ভারতের ব্যাটিং বিপর্যয় ঘটতে চলেছে। কিন্তু রুখে দাঁড়ান তিন নম্বরে নামা ইয়াস্তিকা ভাটিয়াকে নিয়ে রুখে দাঁড়ান অধিনায়ক মিতালি রাজ। বিশ্বকাপের আগের চারটি ম্যাচে রান পাননি আধিনায়ক মিতালি। কিন্তু এদিন দৃঢ়তার পরিচয় দিয়ে দলকে টেনে নিয়ে যান। ইয়াস্তিকার সঙ্রে ১৩০ রানের পার্টনারশিপ গড়ে দলকে শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করিয়ে দেন। ৩২তম ওভারের চতুর্থ বলে আউট হন ইয়াস্তিকা। সেই ডার্সি ব্রাউন নিজের দ্বিতীয় স্পেলে বল করতে এসে তুলে নেন ইয়াস্তিকাকে। ৮৩ বলে তিনি করেন ৫৯। ভারতের রান তখন ১৫৮। ইয়াস্তিকা আউট হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই ফেরেন মিতালি। ৯৬ বলে ৬৮ রান করেন তিনি। রিচা ঘোষ (৮) ও স্নেহ রানা (০) রান পাননি। শেষ দিকে হরমনপ্রীত কাউর (৪৭ বলে অপরাজিত ৫৭) ও পূজা বস্ত্রকারের (২৮ বলে ৩৪) দুরন্ত ব্যাটিং ভারতকে ২৭৭/৭ রানে পৌঁছে দেয়। জয়ের জন্য ২৭৮ রানের লক্ষ্য যথেষ্ট কঠিন ছিল অস্ট্রেলিয়ার কাছে। কারণ এত রান তাড়া করে মহিলাদের বিশ্বকাপে আগে কোনও দল জেতেনি। কিন্তুই অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার র্যাচেল হেনেস ও অ্যালিসা হিলি কাজটা অনেকটাই সহজ করে দেন। ওপেনিং জুটিতে ১৯ ওভারে দুজনে তুলে ফেলে ১২১। ভারতীয় বোলাররা এই দুই ওপেনারের ওপর প্রভাব বিস্তার করতে পারেননি। অবশেষে ভারতকে ব্রেক থ্রু এনে দেন স্নেহ রানা। ২০তম ওভারের দ্বিতীয় বলে অ্যালিসা হিলিকে (৬৫ বলে ৭২) তুলে নেন তিনি। পরের ওভারেই র্যাচেল হেনেসকে (৫৩ বলে ৪৩) ফেরান পূজা বস্ত্রকার। মনে হচ্ছিল পরপর দুটি উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচে ফিরতে চলেছে ভারত। কিন্তু মিতালি রাজদের আশায় জল ঢেলে দেন মেগ ল্যানিং ও এলিসে পেরি। দুজনে মিলে জুটি তোলেন ১০৩ রান। এলিসে পেরিকে (২৮) ফেরান পূজা বস্ত্রকার। এরপরই বৃষ্টির জন্য কিছুক্ষণ খেলা বন্ধ থাকে। তাতেই মনোসংযোগে চিড় ধরানে মেগ ল্যানিংয়ের। বেথ মুনিকে সঙ্গে নিয়ে তিনি ধীরে ধীরে দলকে জয়ের দিকে টেনে নিয়ে যান। মেঘনা সিংয়ের বলে সেঞ্চুরির মুখে আউট হন ল্যানিং (১০৭ বলে ৯৭)। জয় থেকে অস্ট্রেলিয়া তখন ৮ রান দুরে। শেষ ওভারে অস্ট্রেলিয়আর জয়ের জন্য দরকার ছিল ৪ রান। ঝুলন গোস্বামীর প্রথম বলেই ৪ মারেন মুনি। পরের বলে ২ রান নেন। তৃতীয় বলে আবার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দলের সেমিফাইনাল খেলা নিশ্চিত করেন মুনি (২০ বলে অপরাজিত ৩০)। ৩ বল বাকি থাকতে ৪ উইকেটে ২৮০ তুলে ম্যাচ জিতে নেয় অস্ট্রেলিয়া। এদিন দেশের হয়ে ২০০ তম একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেললেন ঝুলন। মাইলস্টোনের ম্যাচে বল হাতে চূড়ান্ত ব্যর্থ। ৯.৩ ওভারে ৬৪ রান দিয়ে কোনও উইকেট পাননি। ৪৩ রানে ২ উইকেট পান পূজা বস্ত্রকার।

মার্চ ১৯, ২০২২
খেলার দুনিয়া

ঝুলনের মাইলস্টোনের দিনেও হার ভারতের

পরপর তিনটি ম্যাচে হার। মহিলাদের ক্রিকেট বিশ্বকাপে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে চলেছিল গতবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। চতুর্থ ম্যাচে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন। ভারতকে ৪ উইকেটে হারিয়ে প্রতিযোগিতায় টিকে রইল ইংল্যান্ড। ২০১৭ বিশ্বকাপ ফাইনালের বদলার স্বপ্ন অপূর্ণই থেকে গেল মিতালি রাজদের। দলকে জেতাতে না পারলেও আরও একটি মাইলস্টোনে পৌঁছে গেলেন ঝুলন গোস্বামী। ট্যামি বিউমন্টকে আউট করে মহিলাদের একদিনের ক্রিকেটে প্রথম বোলার হিসেবে ২৫০ উইকেটের মালিক হলেন।ভারতের বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া ছিল ইংল্যান্ড। লক্ষ্য ছিল টার্গেট দেখে পরে ব্যাট করা। তাছাড়া সকালের উইকেটের সুবিধা নিতে চেয়েছিলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক হিদার নাইট। তাই টস জিতে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠান ইংল্যান্ড অধিনায়ক। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় ভারত। ২৮ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে। ইয়াস্তিকা ভাটিয়া (৮), মিতালি রাজ (১), দীপ্তি শর্মারা (০) রান পাননি।স্মৃতি মান্ধানা ও হরমনপ্রীত কাউর বিপর্যয় কাটানোর চেষ্টা করছিলেন। মনে হচ্ছিল এই জুটির ওপর ভর করে ভারত হয়তো ঘুরে দাঁড়াবে। হরমনপ্রীত কাউর (১৪) ফিরতেই আবার ধস ভারতীয় ইনিংসে। পরপর ফইরে যান স্নেহ রানা (২), স্মৃতি মান্ধানা (৩৩), পূজা বস্ত্রকার (৬)। ৮৬ রানে ৭ উইকেট হারায় ভারত। এই সময় মনে হচ্ছিল হয়তো ১০০ রানের গন্ডি পার করতে পারবে না ভারত। মান বাঁচান দুই বঙ্গতনয়া রিচা ঘোষ (৩৩) ও ঝুলন গোস্বামী (২০)। এই জুটিই ভারতকে ১০০ রানের গন্ডি পার করে দেয়। শেষ পর্যন্ত ৩৬.২ ওভারে ১৩৪ রানে গুটিয়ে যায় ভারতের ইনিংস। ইংল্যান্ডের হয়ে শার্লট ডিন ২৩ রানে ৪টি ও অ্যানা স্ক্রাবসোলে ২০ রানে ২ উইকেট নেন।ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই দুই ওপেনারকে হারায় ইংল্যান্ড। ৫ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়লেও ইংরেজ ইনিংসের রাশ ধরেন হিদার নাইট ও ন্যাট স্কিভার। ঝুলন এবং মেঘনা সিং চার রানের মধ্যে ২ উইকেট তুলে নেন। কিন্তু সেই আঘাত স্থায়ী হতে দেননি ইংরেজ অধিনায়ক। ম্যাচের রাশ নিজের হাতে তুলে নেন হিদার নাইট। তাঁকে সঙ্গ দেন ন্যাট স্কিভার। দুজনে মিলে ৬৫ রানের পার্টনারশিপ করে দলকে শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করিয়ে দেয়। ৫৩ রান করে অপরাজিত থাকেন নাইট। স্কিভার ফিরে যান ৪৫ রানে। তিনি ফেরার পর নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়তে থাকলেও অল্প রানের পুঁজি নিয়ে খুব বেশি লড়াই করতে পারেননি ঝুলনরা। শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌছে যায় ইংল্যান্ড। মেঘনা সিং ৩ উইকেট নেন। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন ঝুলন, রাজেশ্বরী গায়কোয়াড় এবং পূজা বস্ত্রকার।

মার্চ ১৬, ২০২২
খেলার দুনিয়া

বিশ্বরেকর্ড ঝুলনের, ক্যারিবিয়ানদের ১৫৫ রানে গুঁড়িয়ে মহিলা বিশ্বকাপে শীর্ষে ভারত

আগের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে হারের পর দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন ভারতের। মহিলাদের বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৫৫ রানে গুড়িয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষে পৌঁছে গেলেন মিতালি রাজরা। দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করে ভারতের জয়ের ভিত গড়ে দেন স্মৃতি মান্ধানা ও হরমনপ্রীত কাউর। এদিন আনিসা মহম্মদের উইকেট তুলে নিয়ে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী হয়ে গেলেন ঝুলন গোস্বামী। টপকে গেলেন অস্ট্রেলিয়ার লিন ফুলস্টনকে। আগের দুটি ম্যাচে টপ অর্ডার ব্যাটিং নিয়ে যথেষ্ট চিন্তিত ছিলেন ভারতীয় দলের অধিনায়ক মিতালী রাজ। এদিন তাঁকে চিন্তামুক্ত করলেন স্মৃতি মান্ধানা ও হরমনপ্রীত কাউর। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে এদিন ভাল শুরু করেছিল ভারত। ওপেনিং জুটিতে ৬.৩ ওভারে ওঠে ৪৯ রান। যস্তিকা ভাটিয়া ৬টি চারের সাহায্যে ২১ বলে করেন ৩১। মিতালি রাজ ১১ বলে ৫ রান করে আউট হন। ২১ বলে ১৫ রান করেন দীপ্তি শর্মা। ১৩.৫ ওভারে ৩ উইকেটে ৭৮। সেখান থেকে ৪২.৩ ওভার পর্যন্ত ভারতের ইনিংসকে টেনে নিয়ে যায় স্মৃতি মান্ধানা ও হরমনপ্রীত কাউর জুটি।ক্যারিবিয়ান বোলারদের ওপর দারুণ আধিপত্য দেখান স্মৃতি মান্ধানা ও হরমনপ্রীত কাউর। ৬৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ম করেন স্মৃতি। হরমনপ্রীতের হাফ সেঞ্চুরি আসে ৬১ বলে। ১০৮ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মান্ধানা, ৯টি চার ও ২টি ছয়ের সাহায্যে। হরমনপ্রীতের সেঞ্চুরি আসে ১০০ বলে, ৮টি চার ও ২দুটি ছয়ের সাহায্যে। ১৩টি চার ও ২টি ছয়ের সাহায্যে ১১৯ বলে ১২৩ রান করে আউট হন স্মৃতি মান্ধানা। ১০টি চার ও ২টি ছয়ের সাহায্যে হরমনপ্রীত করেন ১০৭ বলে ১০৯। রিচা ঘোষ ৫, পূজা বস্ত্রকার ১০ ও ঝুলন গোস্বামী ২ রানে আউট হন। স্নেহ রানা ২ ও মেঘনা সিং ১ রানে অপরাজিত থাকেন। ৫০ ওভারে ভারত তোলে ৩১৭/৮। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে আনিসা মহম্মদ ৫৯ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট দখল করেন। জয়ের জন্য ৩১৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দারুম শুরু করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১২ ওভারে তোলে ১০০। ঝুলন গোস্বামী, মেঘনা সিং, দীপ্তি শর্মারা প্রমম দিকে ডিয়ান্ড্রা ডটিন ও হেইলি ম্যাথুজের সামনে সুবিধা করতে পারেননি। স্নেহ রানা বোলিং করতে এসে জুটি ভাঙেন। তিনি তুলে নেন ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা ডটিনকে। ৪৬ বলে ৬২ রান করে মেঘনা সিংয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন ডটিন। এরপরই ধস নামে ক্যারিবিয়ান ইনিংসে। ৪০.৩ ওভারে ১৬২ রানেই গুটিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। হেইলি ম্যাথিউজ ৪৩ রান করেন। সাতজন ব্যাটার দুই অঙ্কের ঘরেই পৌঁছাতে পারেননি। স্নেহ রানা ২২ রানে ৩ উইকেট নেন। মেঘনা সিং ২৭ রানে ২ উইকেট পান। ঝুলন গোস্বামী, রাজেশ্বরী গায়কোয়াড় ও পূজা বস্ত্রকার একটি করে উইকেট নেন। এদিন আনিসা মহম্মদকে আউট করে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীর রেকর্ড গড়লেন ঝুলন গোস্বামী। তাঁর উইকেট সংখ্যা ৪০। টপকে গেলেন লিন ফুলস্টনকে। তাঁর উইকেট সংক্যা ৩৯।

মার্চ ১২, ২০২২
খেলার দুনিয়া

রেকর্ড স্পর্শ করেও ভারতকে জেতাতে ব্যর্থ ঝুলন

অবসর প্রসঙ্গে ঝুলন গোস্বামীর মুখে বারবার একটা কথাই শোনা গেছে, যতদিন উপভোগ করব, খেলব। অবসর নিয়ে ভাবছি না। বয়সটা তাঁর কাছে কোনও বাধা আবার প্রমাণ করে দিলেন। বৃহস্পতিবার নিউজিল্যন্ডের কেটি মার্টিনের উইকেট তুলে নিয়ে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী অস্ট্রেলিয়ার লিন ফুলস্টনের রেকর্ড স্পর্শ করলেন ঝুলন। দুজনেরই বিশ্বকাপে ৩৯টি করে উইকেট। রেকর্ড স্পর্শ করলেও দলকে জেতাতে ব্যর্থ ঝুলন। নিউজিল্যান্ডের কাছে ৬২ রানে হারতে হল ভারতকে। মূলত ব্যাটিং বিপর্যয়ের জন্যই হারতে হল ভারতকে।টস জিতে নিউজিল্যান্ডকে ব্যাট করতে পাঠান মিতালি রাজ। লক্ষ্য ছিল কম রানের মধ্যে বিপক্ষকে গুটিয়ে দেওয়ার। কিন্তু তাঁর সেই পরিকল্পনা সফল হয়নি। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৬০ রান তোলে কিউয়িরা। যদিও শুরুটা ভাল হয়নি নিউজিল্যান্ডের। তৃতীয় ওভারেই রান আউট হয়ে ফিরে যান সুজিয়ে বেটস (৫)। অধিনায়ক সোফিয়ে ডিভাইন (৩৫) যখন আউট হন, নিউজিল্যান্ডের রান তখন ৫৪। এরপর দলকে টেনে নিয়ে যান আমিলিয়া কের এবং অ্যামি স্যাটার্থওয়েট। দুজনের জুটিতে ওঠে ৬৭। কেরকে (৫০) তুলে নিয়ে জুটি ভাঙেন রাজেশ্বরী গায়কোয়াড়। সর্বাধিক ৭৫ রান করেন স্যাটার্থওয়েট। ৪১ রানের কার্যকারী ইনিংস খেলেন উইকেটরক্ষক কেটি মার্টিন। ভারতের হয়ে সর্বাধিক চার উইকেট নেন পূজা বস্ত্রকার। ২টি উইকেট পান রাজেশ্বরী গায়েকোয়াড়। ১টি উইকেট নেন দীপ্তি শর্মা। স্লগ ওভারে বোলিং করতে কেটি মার্টিনকে তুলে নিয়ে লিন ফুলস্টনের বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেটের রেকর্ড স্পর্শ করেন ঝুলন গোস্বামী। আর একটি উইকেট পেলেই মহিলা বিশ্বকাপের ইতিহাসে একক ভাবে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির অধিকারি হবেন কিংবদন্তি এই ক্রিকেটার।ব্যাট করতে নেমে প্রথম থেকেই একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে ভারত। স্মৃতি মান্ধানা (৬), দীপ্তি শর্মারা (৫) রান পাননি। ইয়াস্তিকা ভাটিয়া করেন ২৮। অধিনায়ক মিতালি রাজ এবং হরমনপ্রীত কাউরের সৌজন্যে কিছুটা রুখে দাঁড়ায় ভারত। মিতালি (৩১) আউট হওয়ার সঙ্গেই আবার ধস নামে ভারতীয় ইনিংসে। একা লড়াই করেন হরমনপ্রীত কাউর। ৬৩ বলে ৭১ রান করেন তিনি। রিচা ঘোষ মাত্র একবল খেলেই আউট হন। স্নেহ রানা (১৮), পূজা বস্ত্রকাররা (৬) রান পাননি। ঝুলন করেন ১৫। ৪৬.৪ ওভারে ১৯৮ রানে গুটিয়ে যায় ভারতের ইনিংস।

মার্চ ১০, ২০২২
খেলার দুনিয়া

বিশ্বকাপে রেকর্ডের সামনে দাঁড়িয়েও শুধুই দলের কথা ভাবছেন ঝুলন গোস্বামী

মহিলাদের একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বোচ্চ উইকেটের রেকর্ড তাঁরই দখলে। বিশ্বের প্রথম মহিলা ক্রিকেটার হিসেবে ২০০ উইকেটের মালিকও তিনিই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৩০০ উইকেটও তাঁর দখলে। আরও একটা মাইলস্টোনের সামনে দাঁড়িয়ে ঝুলন গোস্বামী। আর মাত্র ২টি উইকেট পেলেই বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারীর রেকর্ড চলে যাবে তাঁর দখলে। ২০০৫ সালে প্রথম বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পান ঝুলন গোস্বামী। এখনও পর্যন্ত খেলেছেন ২৯টি ম্যাচ। ঝুলিতে ভরেছেন ৩৮ উইকেট। বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ উইকেটশিকারের রেকর্ড অস্ট্রেলিয়ার লিন ফুল্টস্টনের দখলে। তাংর সংগ্রহে রয়েছে ৩৯ উইকেট। বৃহস্পতিবার নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলতে নামছেন ঝুলন। এই ম্যাচে ২ উইকেট তুলে নিলেই ফুল্টস্টনকে টপকে যাবেন তিনি। ১৯৬টি একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ইতিমধ্যেই ২৪৭ উইকেট সংগ্রহ করেছেন ঝুলন। আড়াইশো উইকেটের মাইলস্টোনে পৌঁছতে আর মাত্র ৩ উইকেট প্রয়োজন ঝুলনের। বিশ্বের প্রথম মহিলা ক্রিকেটার হিসেবে তিনি এই মাইলস্টোনে পৌঁছবেন। ৩৯ বছর বয়সেও তিনি যে ভাল ছন্দে রয়েছেন, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচেই বুঝিয়ে দিয়েছেন ভারতের এই অভিজ্ঞ জোরে বোলার। ২৬ রানে তুলে নিয়েছিলেন ২ উইকেট। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ব্রেক থ্রু দেওয়ার জন্য দল তাঁর দিকেই তাকিয়ে। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে ঝুলন অবশ্য ব্যক্তিগত রেকর্ড নিয়ে ভাবছেন না। তাঁর মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে দলের সাফল্য। এই নিউজিল্যান্ডের কাছে বিশ্বকাপ শুরুর আগে ১৪ ব্যবধানে সিরিজ হারতে হয়েছিল ভারতকে। বিশ্বকাপে জিততে মরিয়া ভারত। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে নামার আগে ঝুলন বলেন, এই রেকর্ডের কথা আমার মাথাতেই ছিল না। আমার কাজ হল দলকে শুরুতেই ব্রেক থ্রু এনে দিয়ে ভালভাবে শুরু করা। দলের সাফল্যে অবদান রাখাটাই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। ঝুলন আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে খেললে বেশ কয়েকটা ব্যক্তিগত মাইলস্টোনে পৌঁছনো সম্ভব। আমার ক্ষেত্রেও সেটাই ঘটেছে। এই রেকর্ডগুলো আমাকে অনেক আনন্দ দিয়েছে। দলের জয়ে অবদান রাখতে পারাটাই আমার কাছে আসল। আমি দলের একজন সৈনিক। সুতরাং ব্যক্তিগত মাইলস্টোন আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়।

মার্চ ০৯, ২০২২
খেলার দুনিয়া

অনুস্কা শর্মা-র হাত ধরে যাত্রা শুরু চাকদা এক্সপ্রেসের

প্রকাশিত হল এক বহু প্রতীক্ষিত সিনেমার টিজার। যাঁর আত্ম্যত্যাগ ও অনমনীয় মনোবল মিথ-এ পরিণত হয়ে গিয়েছে, বাংলার সেই অবিসংবাদিত মহিলা ক্রিকেট তারকা ঝুলন গোস্বামীর জীবন কহিনী নিয়ে সিনেমার টিজার সামনে এলো। প্রকাশ করলেন প্রযোজক অনুষ্কা শর্মা এবং তার ভাই কর্ণেশ শর্মা। তাঁদের সাংস্থা ক্লিন স্লেট ফিল্মজ এই বায়োপিক-টির প্রযোজনা করছেন। সিনেমাটি পরিচালনা করছেন প্রসিত রায়। চাকদা এক্সপ্রেস নিয়ে বলতে গিয়ে নাম ভূমিকার অভিনেত্রী ও প্রযোজক অনুষ্কা শর্মা বলেন এটা সত্যিই একটি বিশেষ ফিল্ম কারণ এটা মূলত অসাধারণ এক ত্যাগের গল্প। তিনি সামাজিক মাধ্যম নেটফ্লিক্সে সিনেমার টিজার শেয়ার করার সময় লিখেছেন, চাকদা এক্সপ্রেস প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক ঝুলন গোস্বামীর জীবন এবং তাঁর খেলার মাঠের সংগ্রামের ওপর আধারিত এবং অনুপ্রাণিত। তিনি আরও লেখেন, এই সিনেমা সারা বিশ্বে মহিলা হবু ক্রিকেটাদের চোখ খুলে দেবে। ঝুলন এমন এক সময়ে ক্রিকেটার হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এবং ক্রিকেট বিশ্বে তাঁর দেশের নাম উজ্জ্বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, সে সময় মহিলাদের পক্ষে এই খেলাটি খেলার কথা ভাবাও অসম্বভ ছিল। এই ফিল্মটির কাহিনীর নাটকীয় উত্থান পতনের জন্য অনেকের কাছে একটা স্মরণীয় হয়ে থাকবে।ঝুলন যে সময়ে খেলাটা শুরু করেন, একজন মহিলা খেলোয়াড় হিসাবে সাপোর্ট সিস্টেম থেকে শুরু করে, বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা, ক্রিকেট খেলা থেকে নিয়মিত আয় করা, এমনকি ক্রিকেট খেলে নিজের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করা, এই ভাবনাটা মনে করাটাই সম্ভব ছিল না। সে সময়ে খুব কম ভারতীয় মহিলা ক্রিকেটারই ক্রিকেটকে পেশা হিসাবে নিয়েছিল। ঝুলনের ক্রিকেট ক্যারিয়ার গড়ার অত্যন্ত অনিশ্চিত লড়াই-র সামনে একটাই লক্ষ ছিল দেশকে গর্বিত করা। তিনি সেই লক্ষ্যে অবিচল থেকে পট পরিবর্তন করার জন্য প্রাণপাত প্রচেষ্টা চলিয়ে গেছেন।It is a really special film because it is essentially a story of tremendous sacrifice. Chakda Xpress is inspired by the life and times of former Indian captain Jhulan Goswami and it will be an eye-opener into the world of womens cricket. pic.twitter.com/eRCl6tLvEu Anushka Sharma (@AnushkaSharma) January 6, 2022তিনি এক দৃষ্টান্ত তৈরি করতে সমর্থ হয়েছিলেন যে, ভারতের মত দেশে ক্রিকেট খেলেও মেয়েরা তাঁদের ক্যারিয়ার তৈরি করতে পারে। তাঁর লড়াই ছিল যাতে পরবর্তী প্রজন্মের মেয়েরা আরও ভাল খেলার পরিবেশ পায়, তাঁদের যেন শুধু মহিলা খেলোয়াড় হিসাবে গন্য না করা হয়। অনুষ্কা বলেন, ঝুলনের এই খেলোয়াড় জীবন একটি জ্বলন্ত সাক্ষ্য রেখে যায়, যে আবেগ এবং প্রখর অধ্যাবসায় থাকলে যে কোনও বা কিছু ক্ষেত্রে সমস্ত প্রতিকূলতাকে জয় করা যেতে পারে। চাকদা এক্সপ্রেস হল সেই সময়ের মহিলা ক্রিকেটে একটা রোমাঞ্চকর চরিত্র যা বিশ্ব ক্রিকেটে এক উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক-তে পরিণত হয়েছিল।ঝুলন গোস্বামী ১৯৮২-র ২৫নভেম্বর নদিয়া জেলার ছোট্ট শহর চাকদা-তে জন্ম গ্রহণ করেন। আর পাঁচটা মেয়ের মত ছোটবেলায় পুতুল খেলার থেকে বেশী আকর্ষন ছিল ক্রিকেটের ওই লাল বলটার প্রতি। চাকদা শহরেরই স্থানীয় খেলার মাঠ ফ্রেন্ডস ক্লাব এবং নবারুণ সমিতিতে ঝুলনের ক্রিকেট খেলার হাতেখড়ি। ক্রিকেট খেলার নেশা চেপে বসে ঝুলনের, শুরু হয় এক ভয়ংকর লড়াই। যে ট্রেনে মানুষ স্বাভাবিক নিশ্বাস নিতে পারে না, শ্বাস নেওয়ার জন্য নাক দুটো ওপরের দিকে করে ট্রেন যাত্রা করে। সেই শান্তিপুর-শিয়ালদহ লাইনের ভোরের লোকাল ট্রেন চেপে চাকদা থেকে কলকাতা ময়দান যাত্রা শুরু, খেলোয়াড় তাঁকে হতেই হবে! কলকাতায় এসে নিয়মিত প্র্যাকটিস শুরু। কোচ স্বপন সাধুর কাছ থেকে পেশাগত ক্রিকেটের তালিম শুরু করেন বিবেকানন্দ পার্কে। তিনিই ঝুলনের শারীরিক গঠন দেখে তাঁকে জোরে বোলিং করার পরামর্শ দেন। প্রথম ডিভিশন থেকে এক একটা হার্ডেল বেঙ্গল, ইস্ট-জোন পার করে স্থান করে নেন স্বপ্নের ভারতীয় দলে। শুরু হয় এক স্বপ্নের যাত্রা, ঝুলন অল-রাউন্ডার হিসাবে ভারতীয় দলে সুযোগ পেলেন।When you represent India, thats all that is on your mind. Tum desh ke liye khel rahe ho, apne liye nahi. 11 women playing to place Team Indias name in history.It doesnt matter if they said ladkiyan cricket nahi khel sakti. pic.twitter.com/H7LQ4BEzQP Jhulan Goswami (@JhulanG10) January 6, 2022২০০২-র ৬ই জানুয়ারী ইংল্যান্ডে মহিলা দলের বিরুদ্ধে একদিনের ক্রিকেটে ঝুলনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অভিষেক হয়েছিল। মহিলা ক্রিকেটার হিসেবে এই মহুর্তে একদিনের ক্রিকেটে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী ভারতের এই ডানহাতি ফাস্ট বোলার। তিনি অস্ট্রেলিয়ার ক্যাথরিন ফিটজপ্যাট্রিকের রেকর্ড ভেঙ্গে এই রেকর্ডের অধিকারী হন। এর পর আর তাঁকে ফিরে তাকাতে হয়নি। তিনি ২০০৭-এ আইসিসি (ICC) বর্ষসেরা মহিলা খেলোয়াড়ের পুরস্কার লাভ করেন এবং ২০১১তে শ্রেষ্ঠ মহিলা ক্রিকেটার হিসেবে এম এ চিদাম্বরম ট্রফি লাভ করেন। বহু মূল্যবান পুরস্কার তিনি পান, ঝুলন ২০২১তে ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান পদ্মশ্রী পুরস্কার লাভ করেন, তৎকালীন ভারতের রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে পুরস্কারটি গ্রহণ করেন।তাঁর ক্রিকেট কেরিয়ার-এর দিকে তাকালে যতটা চকচকে লাগে বাস্তবের মাঠ তাঁর থেকে অনেক বেশী রুক্ষ ছিল। তাঁকে নিয়ে বাণিজ্যিক যে উন্মাদনা থাকা উচিত ছিল তিনি তাঁর অনেকাংশেই কম পেয়েছেন। হয়তো তাতে তাঁর কোনও আক্ষেপ নেই, কিন্তু সাধারণ মানুষের আছে। ভারতের ক্রীড়া ইতিহাস ঘাটলে এরকম অনেক চিত্র-ই সামনে আসবে। তথাকথিত নায়িকা সুলভ চেহারা না থাকার জন্য ঝুলনের বাণিজ্যিক মহলে চাহিদা অনেক কম ছিল। সমতুল্য বা উঁচুদরের খেলোয়াড় হওয়া স্বত্তেও তাঁর থেকে অনেক বেশি এন্ডোর্সমেন্ট ছিল মিতালি রাজ, স্মৃতি মান্ধানার। এই চিত্র পি টি ঊষা-র ক্ষেত্রেও দেখা গেছে, আন্তর্জাতিক মানের অ্যাথলেটিক হওয়া স্বত্তেও আশ্বিনী নাচ্চপা বা সাইনি আব্রাহামের ব্র্যান্ড ভ্যালু অনেক বেশী ছিল।এই সিনেমা সম্বন্ধে বলতে গিয়ে প্রযোজক ও অভিনেত্রী অনুষ্কা শর্মা বলেন, ভারতে মহিলা ক্রিকেটে বিপ্লব ঘটানোর জন্য আমাদের সকলের ঝুলন এবং তার সতীর্থদের স্যালুট করা উচিত। এটা তাঁদের কঠোর পরিশ্রম, তাঁদের আবেগ এবং তাঁদের অপরাজিত অদম্য মনোভাব মহিলা ক্রিকেটের প্রতি মনোযোগ আনার জন্য পরবর্তী প্রজন্মের দৃষ্টি ঘুরিয়ে দিয়েছে। একজন মহিলা হিসেবে, ঝুলনের গল্প শুনে আমি গর্বিত হয়েছিলাম এবং তাঁর জীবন দর্শন ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করা আমার কাছে ভীষন সম্মানের। একজন ক্রিকেট প্রেমী হিসেবে আমাদের মহিলা ক্রিকেটারদের তাঁদের প্রাপ্য দিতেই হবে। ঝুলনের গল্প সত্যিই ভারতের ক্রিকেটের ইতিহাসে একটি ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প এবং ছবিটি আমাদের তরফ থেকে তাঁর প্রতি এক উপহার।ঝুলন গোস্বামী নিজেও এই ছবিটির টিজার সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করেছেন। তাঁর পোস্টে তিনি লিখেছেন, যখন আপনি দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে নামেন, তখন আপনার মনে একটাই কথা থাকে,তুম দেশ কে লিয়ে খেল রহে হো, আপনে লিয়ে নেহি। টিম ইন্ডিয়ার ক্রিকেট ইতিহাসে নাম লেখাতে পেরে তিনি নিজেকে ধন্য মনে করেছেন। তিনি বলেন, মহিলা ক্রিকেট বলে কিছু নেই, খেলাটা খেলাই, সেটা মহিলা বা পুরুষ যেই খেলুক। অনেক সময় স্টেডিয়াম খালি থাকে, তাতে কিছু যায় আসে না। বোলিং শুরু করার জন্য যখন পিচের দিকে দৌড়চ্ছেন, তখন আপনি শুধু বিপক্ষ দলের যে ব্যাট ধরে আছে তাঁকে এড়িয়ে ছিটকে দেওয়ার জন্য যে উইকেট লাগানো তাঁর দিকে আপনার দৃষ্টি নিবদ্ধ থাকে।

জানুয়ারি ১৯, ২০২২
খেলার দুনিয়া

J‌hulan Goswami : ক্রিকেট জীবনে ৬০০ উইকেটের মাইলস্টোনে ঝুলন গোস্বামী

অনন্য নজির গড়লেন ঝুলন গোস্বামী। সব ধরণের ক্রিকেট মিলিয়ে ৬০০ উইকেটের মাইলস্টোনে পৌঁছে গেলেন ভারতীয় দলের এই জোরে বোলার। তাঁর দুরন্ত বোলিংয়ের সুবাদে সিরিজের তৃতীয় একদিনের ম্যাচ জিতে সম্মান কিছুটা রক্ষা করল ভারত। রবিবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তৃতীয় একদিনের ম্যাচে র্যাচেল হেইন্স ঝুলনের ক্রিকেট জীবনের ৬০০ তম শিকার। একই ওভারে তিনি আউট করেন মেগ ল্যানিংকে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী হেইন্স ও ল্যানিং ঝুলনের কেরিয়ারে যথাক্রমে ৬০০ ও ৬০১তম শিকার। ম্যাচের নবম ওভারের প্রথম ও পঞ্চম বলে যথাক্রমে ওপেনার র্যাচেল হেইন্স ও অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক মেগ ল্যানিংকে প্যাভিলিয়নে ফেরান ঝুলন। শেষ ওভারে আউট করেন অ্যানাবেল সাদারল্যান্ডকে। অসি অধিনায়ককে শূন্য রানে আউট করে কেরিয়ারের ৬০১তম উইকেটটি ঝুলিতে পুরে ফেলেন ঝুলন। ঝাঁপিয়ে পড়ে অনবদ্য দক্ষতায় ল্যানিংয়ের ক্যাচ তালুবন্দি করেন উইকেটকিপার রিচা ঘোষ।ঝুলন গোস্বামীর দখলে রয়েছে ৩৩৭টি আন্তর্জাতিক উইকেটে। পাশাপাশি ঘরোয়া ক্রিকেটে পেয়েছেন ২৬৫টি উইকেট। সবমিলিয়ে ৬০১টি উইকেট চাকদহ এক্সপ্রেসএর ঝুলিতে। ২০০২ সালে থেকে রবিবার পর্যন্ত ১৯২টি একদিনের আন্তর্জাতিকে ২৪০টি উইকেট নিয়েছেন। সেরা বোলিং ৩১ রানের বিনিময়ে ৬ উইকেট। গড় ২১.৫৯, ইকনমি ৩.৩১। মহিলাদের একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি উইকেট ঝুলনেরই। ১১টি টেস্টে তিনি ৪১টি উইকেট পেয়েছেন। টি২০তে ঝুলনের উইকেট ৬৮ ম্যাচে ৫৬। টেস্ট ও একদিনের ক্রিকেট খেললেও আন্তর্জাতিক টি ০ থেকে ২০১৮ সালেই অবসর নিয়েছেন ঝুলন। মহিলাদের ক্রিকেটে ঝুলনই একমাত্র বোলার যাঁর দখলে ২০০র বেশি ওয়ান ডে উইকেট রয়েছে।সিরিজের দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচে ঝুলন গোস্বামীর শেষ ওভারের বিতর্কিত নো বলের ফায়দা তুলে ম্যাচ জিতে সিরিজ পকেটে পুরে ফেলেছিল অস্ট্রেলিয়া। রবিবার সিরিজের শেষ ম্যাচে ২ উইকেটে জিতে সম্মান বাঁচাল ভারত। প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৬৪ রান তোলে অস্ট্রেলিয়া। গার্ডনার করেন সর্বোচ্চ ৬৭। মুনি করে ৫২। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে সেরা বোলিং করেন ঝুলন গোস্বামীই। ১০ ওভার হাত ঘুরিয়ে ২টি মেডেনসহ ৩৭ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট পান ঝুলন। পুজা বাস্ত্রকার ৪৬ রানে নেন ৩ উইকেট। জয়ের জন্য ২৬৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভাল শুরু করে ভারত। ওপেনিং জুটিতে ১০ ওভারে ওঠে ৫৯। স্মৃতি মান্ধানা ২২ রান করে আউট হন। দ্বিতীয় উইকেটের জুটিতে ১০১ রান যোগ করেন শেফালি ভার্মা ও ইয়াস্তিকা ভাটিয়া। শেফালি ৯১ বলে ৫৬ রান করে আউট হন। রিচা ঘোষ কোনও রান করতে পারেননি। ইয়াস্তিকা ৬৯ বলে ৬৪ রান করে আউট হন। ভারতকে জয়ের লক্ষ্যে এগিয়ে দেন দীপ্তি শর্মা (৩১) ও স্নেহা রানা (৩০)। ৪৯.৩ ওভারে ২৬৬/৮ তুলে ম্যাচ জিতে নেয় ভারত।

সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২১

ট্রেন্ডিং

খেলার দুনিয়া

মান্ধানার রেকর্ডে কাঁপল বিশ্ব! ফাইনালে কি লেখা হবে নতুন ইতিহাস?

মুম্বইয়ের ডিওয়াই পাটিল স্টেডিয়াম যেন অপেক্ষা করছে ইতিহাসের জন্মের সাক্ষী হওয়ার। গ্যালারিতে ঢেউ তুলছে নীল সাগর। কোটি ভারতবাসীর নিশ্বাস যেন একসঙ্গে আটকে। কারণ, মহিলা বিশ্বকাপের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে জয়ের লক্ষ্য ২৯৯ রান ছুঁড়ে দিয়েছে ভারত। ৩০০-এর দোরগোড়াহাতের নাগালেই ছিল। কিন্তু যেই দুই ব্যাটারকে দেখার অপেক্ষায় ছিল সমর্থকেরা, সেই স্মৃতি মান্ধানা আর হরমনপ্রীতের ব্যাট আজ বড় কিছু লিখতে পারল না।সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৮৯ রানের ইনিংসে আগুন ঝরিয়েছিলেন নকআউট কুইন হরমনপ্রীত। আজ ফাইনালে এসে থেমে গেলেন ২০ রানে। দুইটি বাউন্ডারি মারলেও নিজের সেরাটুকু দেখাতে পারলেন না অধিনায়ক। ফ্যানদের আশাহতাশার মিশেল রয়ে গেল মাঠ জুড়ে।তবু ভারতীয় ক্রিকেটের অন্য নক্ষত্র জ্বলল উজ্জ্বল আলোয়। স্মৃতি মান্ধানা ফাইনালে করলেন ৫৮ বলে ৪৫ রানহ্যাঁ, হাফসেঞ্চুরি হাতছাড়া। কিন্তু সেই সঙ্গেই গড়লেন এক বিশাল রেকর্ড। মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ ইতিহাসে এক সংস্করণে সর্বাধিক রান করার নজির ভাঙলেন তিনি। মিতালি রাজের ২০১৭ সালের ৪০৯ রানকে টপকে স্মৃতির সংগ্রহ এখন ৪৩৪।মান্ধানাশেফালি জুটি দারুণ ছন্দে এগোচ্ছিল। ১৭তম ওভারেই এল ভাঙন। ক্লোয়ি ট্রায়নের বল তুলে দিয়ে ক্যাচ ফিরিয়ে দিলেন ভারতীয় ওপেনার। আর ৩৮তম ওভারে ফিরে যান হরমনপ্রীত। দুজনই যদি আর কিছুক্ষণ উইকেটে দাঁড়াতে পারতেনস্টেডিয়ামের স্কোরবোর্ড হয়তো অন্য গল্প বলত।কিন্তু এখনও সব শেষ নয়। ভারতীয় স্পিন, দর্শকদের গর্জন, আর মাঠজুড়ে নীল আকাশএই তিন শক্তি কি এনে দেবে প্রথম নারী বিশ্বকাপ? চোখ রাখল ভারত।আজ রাতেই উত্তর।

নভেম্বর ০২, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

নীলে রাঙা দেশ! বিশ্বকাপফাইনালে শেফালি–ঝড়, ২৯৮ রান তুলে ইতিহাসের দোরগোড়ায় ভারত

ভারতের আকাশ আজ নীলের উৎসবে ঢেকে। নবি মুম্বইয়ের ডি ওয়াই পাটিল স্টেডিয়ামে নারী ক্রিকেট বিশ্বকাপের মহারণে নামতেই যেন বৃষ্টির ফোঁটা হয়ে দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ল আবেগ। সেই বৃষ্টি ধুয়ে দিল শুধু মাটি নয়, যেন দেশের কোটি স্বপ্নকে। কারণ, আজ ইতিহাস লেখা সম্ভব উইমেন ইন ব্লু-র। হরমনপ্রীত কৌরদের কাঁধে ভারতীয় ক্রিকেটের অপূর্ণতা মুছার দায়িত্ব। আর ব্যাট হাতে সেই পথে বড় পদক্ষেপই রাখল ভারত।প্রথমে ব্যাট করে ভারত থামল ২৯৮ রানে। ৭ উইকেট হারিয়ে তোলা এই রানকে কি বিশ্বজয়ের রান বলা যায়? দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিংয়ের বিরুদ্ধে ভারতীয় ব্যাটারদের সাহসী ইনিংস, দর্শকদের গর্জন, আর মাঠজুড়ে নীল আবেগসব মিলিয়ে দিনটা ইতিহাসের পাতায় ওঠার অপেক্ষায়।ইনিংসের শুরুতেই স্মৃতি মন্ধানা ও শেফালি বর্মার ব্যাটে নজর কাড়া সূচনা। বৃষ্টিভেজা উইকেটে সতর্ক শুরু হলেও শিগগিরই বদলে গেল রঙ। বড় শট, নির্ভয়ে রান রোটেশনদুটিতেই সামনে শেফালি। এক সময় সেঞ্চুরির দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে পড়লেও শেষে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ৮৭ রানে। কী দারুণ ইনিংস! তিন বছর ধরে ওয়ানডেতে হাফসেঞ্চুরি নেইএ কথা ভুলিয়ে দিলেন বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে। বিশ্বকাপ স্কোয়াডেও প্রথমে জায়গা ছিল নাএকেবারে সিনেমার চিত্রনাট্য।স্মৃতি মন্ধানা ৪৫ রানে আউট হন। জেমাইমা রদ্রিগেসের ২৪ রান, অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌরের ২০যেখানে সবাই শুরু করেও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি, সেখানে দুই ভারতীয় ভরসা দীপ্তি শর্মা ও রিচা ঘোষ সামলালেন ইনিংস। দীপ্তির অর্ধশতরান, আর রিচার দাপুটে ২৪ বলে ৩৪ রানে ভারত ৩০০ ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখেছিল। কয়েকটা শট আর সাহসে হয়তো ২৫-৩০ রান আরও বাড়ানো যেতসেটা নিয়েই এখন আলোচনা।এখন প্রশ্ন একটাইএই রান কি যথেষ্ট? স্পিন বোলিং আর দর্শকদের গর্জন কি দেশকে এনে দেবে প্রথম নারী বিশ্বকাপ? দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক বলেই দিয়েছিলেন, এই পিচে রান তাড়া সহজ। তাই ম্যাচ এখন পুরোপুরি বোলারদের হাতে।স্টেডিয়ামের শব্দঅর্কেস্ট্রা, নীল পতাকার ঢেউ এবং লক্ষ মুখে একটাই ডাকচলো মেয়েরা! রোহিতবিরাটদের অসম্পূর্ণ গল্প কি এবার মেয়েরাই পূর্ণ করবেন?

নভেম্বর ০২, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

স্বপ্নভঙ্গের দাগ এখনও টাটকা! ফাইনালের আগে হরমনদের পাশে দাঁড়ালেন কোহলি-বুমরাহ-সূর্য

দুই বছর আগে ঠিক এই মঞ্চেই স্বপ্ন ভেঙেছিল ভারতীয় মহিলাদের। বিশ্বকাপ ফাইনালে উঠে ট্রফি ছোঁয়ার এতটা কাছে গিয়েও ফিরে আসতে হয়েছিল খালি হাতে। সেই ব্যথা এখনও জাগ্রত। তাই ২০২৫এর আরেক মহাযুদ্ধের আগে হরমনপ্রীত কৌরদের দিকে তাকিয়ে গোটা দেশ। সেই সঙ্গে পাশে দাঁড়িয়ে গেলেন ভারতীয় পুরুষ দলের তারকারাও। কোহলি, সূর্যকুমার যাদব থেকে শুরু করে জশপ্রীত বুমরাহসবাই একসুরে জানিয়ে দিলেন, ভয় নেই, এগিয়ে যাও।ফাইনাল ম্যাচের আগে BCCIর প্রকাশ করা ভিডিওতে দেখা গেল গৌতম গম্ভীরকে। শান্ত অথচ দৃঢ় কণ্ঠে গম্ভীর বললেন, ভারতীয় ক্রিকেট পরিবার ধন্যবাদ জানাচ্ছে মেয়েদের। তিনি বলেন, ফাইনাল উপভোগ করো, সাহসিকতার সঙ্গে খেলো। ভুল করলেও ভয় পেয়ো না। তোমরা ইতিমধ্যেই দেশকে গর্বিত করেছ। গম্ভীরের বার্তায় স্পষ্টচাপ নয়, আনন্দই দিক নির্দেশ করবে।অন্যদিকে বিরাট কোহলি ও সূর্যকুমার যাদবও বার্তা পাঠিয়েছেন। সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার মতো শক্তিশালী দলকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠার জন্য মহিলা দলের প্রশংসা করেছেন তাঁরা। সূর্য বলেছেন, নিজেদের মত করে খেলে যাও, টুর্নামেন্ট জুড়ে তোমরা অসাধারণ খেলেছ। এমনকি জশপ্রীত বুমরাহর কথায়ও একই সুর। অস্ট্রেলিয়া থেকে বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, জীবনে অনেক ফাইনাল আসে না, তাই বাড়তি চাপ না নিয়ে নিজের সেরাটা দাও। নিজের খেলায় বিশ্বাস রাখো। ফল ঠিকই আসবে।২০১৭তে মিতালি রাজের দল, এরপর ২০২৩এ রোহিত শর্মাদের স্বপ্নভঙ্গভারতীয় পুরুষ ও মহিলা দল দুইই ফাইনালের যন্ত্রণা চেনেন। কিন্তু এবার প্রত্যাশা ভরা চোখে মানুষ অপেক্ষা করছে নতুন ইতিহাসের জন্য। ভারতীয় ক্রিকেটাররাও বিশ্বাস রাখছেন, হরমনপ্রীতস্মৃতিরিচাদের হাতেই এবার বিশ্বজয়ের গল্প লেখা হবে।দেশজুড়ে উত্তেজনা তুঙ্গে। প্রত্যেক ভারতীয়র মনে একই প্রার্থনাএবার ট্রফি ফিরেই আসুক দেশের মাটিতে।

নভেম্বর ০২, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

নবি মুম্বইয়ে বৃষ্টি, ফাইনাল কি পিছিয়ে যাবে? দুশ্চিন্তায় ক্রিকেটপ্রেমীরা

ইতিহাসের সামনে দাঁড়িয়ে হরমনপ্রীত কৌরদের ভারত। নবি মুম্বইয়ের মাঠে আজই হওয়ার কথা ছিল বিশ্বজয়ের লড়াই। প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু এমন উত্তেজনার দিনে ভাগ্য যেন একটু খারাপই খেলল টিম ইন্ডিয়ার সঙ্গে। দুপুর গড়াতেই নামল মৌসুমবহির্ভূত বৃষ্টি, আর সেই সঙ্গে থমকাল মহিলা ওয়ানডে বিশ্বকাপের মহারণ।ভারতীয় সময় বিকেল সাড়ে তিনটায় ম্যাচ শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ক্রমাগত বৃষ্টি নামায় টস পর্যন্ত হয়নি। গ্যালারিতে বসা দর্শক থেকে শুরু করে টিভির সামনে বসা ক্রিকেটপ্রেমীরাসবাই এখন শুধু অপেক্ষা করছেন আকাশ পরিষ্কার হওয়ার।এখন প্রশ্ন একটাইযদি বৃষ্টি কমেই না? তবে কি বিশ্বকাপ ফাইনাল মাঠেই নামবে না? ভারতীয় সমর্থকদের মনে তাই উৎকণ্ঠা, আর চোখ ঝুলছে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, ম্যাচ আজই শেষ করার সর্বোচ্চ চেষ্টা হবে। প্রয়োজন হলে দুদলের ওভার কমিয়ে দেওয়া হবে। একই দিনে ফলাফল করতে হলে কমপক্ষে ২০ ওভার করে খেলতেই হবে দুদলকে। যদি বৃষ্টি সেই সুযোগও না দেয়, তবে প্রস্তুত আছে রিজার্ভ ডে।আগামীকাল অর্থাৎ সোমবার রাখা হয়েছে চূড়ান্ত দিন। যদি আজ ম্যাচ অসম্পূর্ণ থাকে, সেখান থেকেই কাল আবার খেলা শুরু হবে। তবে যদি এক বলও না গড়ায় আজ, সোমবার পুরো ৫০ ওভারের নতুন ম্যাচ আয়োজনের সম্ভাবনাও রয়েছে। এই মুহূর্তে তাই ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের একটাই আশাআকাশটা একটু পরিষ্কার হোক, আর বিশ্বকাপের মঞ্চে দেখা যাক হরমনপ্রীত কৌরদের দাপট। সেমিতে দুরন্ত ফর্মে থাকা রিচা ঘোষ, স্মৃতি মন্ধানা, শেফালিসবাই প্রস্তুত ইতিহাস লেখার জন্য। বাকি শুধু মাঠে নামা।এদিকে স্টেডিয়ামের ছাদেও ঠাসা উত্তেজনা। কেউ মন্ত্রজপ করছেন, কেউ মোবাইলে আবহাওয়া আপডেট দেখছেন, আবার কেউ পতাকা হাতে বৃষ্টি থামার অপেক্ষায়। বিশ্বকাপের দিনই যদি বৃষ্টি আসে, তা কি মানা যায়? এখন সবই নির্ভর করছে আকাশের দিকে। ভারতীয়দের মনে একটাই স্বপ্নআজ হোক, কাল হোক, কিন্তু হাতে উঠুক সেই সোনার ট্রফি।

নভেম্বর ০২, ২০২৫
দেশ

"অপারেশন সিঁদুর ভুলতে পারেনি পাকিস্তান-কংগ্রেস", নতুন করে বিস্ফোরক মন্তব্য মোদির

বিহারের আরায়ায় রবিবার নির্বাচনী প্রচারে এসে কংগ্রেস ও আরজেডিকে একযোগে আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর বক্তব্যে বারবার উঠে এল জাতীয় নিরাপত্তা, কাশ্মীর, এবং অতীতের রাজনৈতিক সহিংসতার প্রসঙ্গ।মোদি বলেন, অপারেশন সিঁদুরের পর থেকে পাকিস্তান ও কংগ্রেসদুই পক্ষই এখনও ধাক্কা সামলাতে পারেনি। পাকিস্তানে বিস্ফোরণের সময় কংগ্রেসের রাজপরিবারর ঘুম নষ্ট হয়েছিল বলে দাবি করেন তিনি। তাঁর মন্তব্যআমরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম সন্ত্রাসীদের ঘরে ঢুকে মারব। অপারেশন সিঁদুর সেই অঙ্গীকার পূরণ করেছে। সঙ্গে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের কথাও স্মরণ করিয়ে দেন মোদি। বলেন, এটি তাঁর গ্যারান্টি ছিল এবং আজ তা বাস্তব।বিহার রাজনীতিতে মহাগঠবন্ধনের দিকে কটাক্ষ ছুঁড়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, কংগ্রেস কখনওই তেজস্বী যাদবকে মুখ্যমন্ত্রী মুখ করতে চাইনি। কিন্তু আরজেডির চাপেই কংগ্রেসকে রাজি হতে হয়েছে। তাঁর ভাষায়আরজেডি বন্দুক ঠেকিয়ে কংগ্রেসকে সিএম প্রার্থী ঘোষণা করাতে বাধ্য করেছে।মোদি দাবি করেন, কংগ্রেস-আরজেডির মধ্যে গভীর বিরোধ আছে, এবং নির্বাচন শেষে তারা পরস্পরকে দোষারোপ করবে। তাই তাঁদের উপর আস্থা রাখা যায় না। মহাগঠবন্ধনের ইস্তেহারকে তিনি মিথ্যার আর প্রতারণার দলিল আখ্যা দেন। এনডিএর ঘোষণাপত্রকে বলেন সত্ ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন, যা বিহারের উন্নয়নের জন্য তৈরি।এদিন ১৯৮৪র শিখবিরোধী দাঙ্গার কথাও টেনে আনেন মোদি। তাঁর অভিযোগ, কংগ্রেস আজও সেই সময়ের দোষীদের সম্মান দিচ্ছে। তিনি বলেনআরজেডির নাম জঙ্গলরাজের সঙ্গে জড়িত, আর কংগ্রেসের পরিচয় শিখ গণহত্যার সঙ্গে। বিহার ভোটমাঠে শেষ দফা প্রচারে তাই তীব্র হচ্ছে ভাষার লড়াই। একদিকে এনডিএর উন্নয়নের দাবি, অন্যদিকে পরিবর্তনের ডাকদুই পক্ষের জোর প্রচারের মধ্যেই প্রস্তুতি নিচ্ছে ভোটযুদ্ধের ময়দান।

নভেম্বর ০২, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

ইতিহাস গড়তে নামছে হরমনদের বাহিনী, রিচা ঘোষে বুক বাঁধছে গোটা বাংলা

শুধু পুরুষ ক্রিকেট নয়মেয়েরাও পারে! ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের আত্মবিশ্বাস এখন আকাশছোঁয়া। আর মাত্র এক রাতের অপেক্ষা। রবিবারই ওডিআই বিশ্বকাপের ফাইনালে নামছে হরমনপ্রীত কউররা। শেষ লড়াই দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে। আর গোটা দেশ যেমন উত্তেজনায় ফুটছে, বাংলায় সেই উত্তেজনার কেন্দ্র শিলিগুড়ি। কারণ ফাইনালের মাঠে থাকছেন শহরেরই মেয়ে রিচা ঘোষ।বয়স মাত্র ২২। কিন্তু মন? যেন সহাস্য যোদ্ধা। এই বিশ্বকাপেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে গ্রুপ পর্বে ঝড় তুলেছিলেন রিচামাত্র হাতে গোনা ডেলিভারি পেলে খেলেছিলেন ৯৪ রানের ধ্বংসাত্মক ইনিংস। সেই ম্যাচে ভারত হেরে গেলেও, রিচার ব্যাটে আলোর রেখা দেখেছিল দেশ।সেই তারকার জন্য এখন বুক বেঁধে অপেক্ষা শিলিগুড়ির। শহরের রাস্তায় উত্তেজনা, দেওয়ালে পোস্টার, আর মানুষের মুখে একটাই প্রশ্নরিচা কেমন করবে কাল? শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদ ইতিমধ্যেই বিগ স্ক্রিনে ফাইনাল দেখানোর আয়োজন করে ফেলেছে। শহরের একাধিক জায়গায় লাগানো হচ্ছে ফ্লেক্স, তৈরি হচ্ছে উৎসবের আবহ।রিচার পুরনো দিনেও আলো। ২০১৩১৪ সালে বাঘাযতীন ক্লাবের হয়ে খেলতেন সে সময়কার ছোট্ট মেয়ে রিচা। কোচ বরুণ বন্দ্যোপাধ্যায় এখন আগের সেই দৃঢ় আত্মবিশ্বাস মনে করছেন। তাঁর মুখে গর্বওকে প্রথম দিন থেকেই আলাদা লাগত। ব্যাট ধরার ভঙ্গি, শরীরী ভাষা, মনোভাবসবেতেই ছিল বড় খেলোয়াড়ের স্পষ্ট আভাস।একই কথা বলছেন রিচার বন্ধু ও প্রাক্তন সতীর্থ অঙ্কিতা মোহন্তও। তিনি স্মিতহাস্যে বলছেন, রিচা সব সিদ্ধান্ত খুব পরিষ্কারভাবে নেয়। আমাদের সময়ও ও পরামর্শ দিত। এখন দেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছে ব্যাটে। আগামিকাল ও দেখাবেমেয়েরাও পারে!মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের ক্রিকেট সচিব ভাস্কর দত্ত মজুমদার আরও খোলামেলাআমাদের শহরের মেয়ে! তাই তো গর্ব। কাল গোটা শহর স্ক্রিনের সামনে এক হবে। রিচার জন্য শুভেচ্ছা।এখন শুধু অপেক্ষা ফাইনালের। শিলিগুড়ি, বাংলা আর ভারতসকলেরই চোখ এক ব্যাটে, এক মেয়ের উপর। ইতিহাস রচনার মুহূর্ত কি তাহলে আর কয়েক ঘণ্টা দূরেই?

নভেম্বর ০২, ২০২৫
বিদেশ

চলন্ত ট্রেনে রক্তঝড়! যাত্রীদের উপর ছুরি হামলা, আতঙ্কে থমকাল ট্রেন

লন্ডনগামী একটি ট্রেনের ভিতর শনিবার রাতে তৈরি হল আতঙ্কের আবহ। হঠাৎই কয়েকজন যাত্রীর উপর ধারালো ছুরি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে দুষ্কৃতীরা। মুহূর্তেই চিৎকার, রক্ত, দৌড়ঝাঁপসব মিলিয়ে ট্রেনের কামরাটি পরিণত হয় বিভীষিকার দৃশ্যে। বাঁচার জন্য যাত্রীরা ছুটতে ছুটতে শৌচাগারে লুকিয়ে পড়েন। কেউ কেউ পা পিছলে পড়ে আহত হন। কামরার মেঝে রক্তে ভরে যায়।ঘটনাটি ঘটেছে কেমব্রিজের কাছে। রাত ৭টা ৩৯ মিনিট নাগাদ পুলিশ ফোন পায় ট্রেনে ছুরি নিয়ে হামলার খবর। খবর পেয়েই সশস্ত্র বাহিনী পৌঁছে যায় নিকটবর্তী স্টেশন হান্টিংডনে। এরপর ট্রেনটিকে মাঝপথেই থামানো হয়। স্টেশনে দাঁড়াতেই দৌড়ে ওঠে বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী। আতঙ্কগ্রস্ত যাত্রীদের নিরাপদে বার করে নিয়ে আসা হয়। অনেকে তখনও লুকিয়ে ছিলেন ট্রেনের বাথরুমে। পুলিশ তাঁদের একে একে উদ্ধার করে।প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, এক নয়, একাধিক ব্যক্তি হাতে লম্বা ছুরি নিয়ে যাত্রীদের উপর হামলা চালায়। তাঁদের কথায়, আক্রমণকারী চলতে চলতে দৌড়ে এগিয়ে আসছিল, আর চারদিকে ছড়িয়ে ছিল রক্ত। আতঙ্কে সবাই পালাতে শুরু করে। ট্রেন থামতেই একজন হামলাকারী বড় ছুরি হাতে নেমে আসার চেষ্টা করে, কিন্তু পুলিশ সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে কাবু করে ফেলে।এ ঘটনায় ইতিমধ্যেই দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আহতদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে নিকটবর্তী হাসপাতালে। যদিও ব্রিটিশ পুলিশ এখনও পর্যন্ত আহতের আনুষ্ঠানিক সংখ্যা জানাতে পারেনি, সূত্রের দাবিকমপক্ষে দশজন ছুরিকাহত।হঠাৎ এই হামলার উদ্দেশ্য এখনও পরিষ্কার নয়। সন্ত্রাস দমন বিভাগও তদন্তে নেমেছে। পুরো দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও শক্ত করা হয়েছে। ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মার। তিনি বলেছেন, নিরীহ মানুষকে টার্গেট করে এমন হামলা বরদাস্ত করা হবে না।সাধারণ যাত্রার একটি রাত যে এমন রক্তাক্ত দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে, তা ভাবেননি কেউই। ব্রিটেনে এখন একটাই প্রশ্নট্রেনে এই হামলার পিছনে কারা, এবং কেন?

নভেম্বর ০২, ২০২৫
দেশ

ভোটের উত্তাপে বিস্ফোরণ, গুলির আতঙ্ক! জন সূরজ পার্টির কর্মী খুনে ধরা জেডিইউ নেতা

বিহার বিধানসভা নির্বাচন ২০২৫-এর আগেই উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। রাজনৈতিক আক্রমণপ্রতিআক্রমণের মাঝেই এবার সামনে এল রক্তাক্ত ঘটনা। প্রশান্ত কিশোরের দল জন সূরজ পার্টির কর্মী দুলারচন্দ যাদবের মৃত্যুর মামলায় গ্রেফতার হলেন ক্ষমতাসীন জেডিইউ-র মোকামা কেন্দ্রের প্রার্থী অনন্ত সিং। পটনা পুলিশের হাতে শনিবার, ১ নভেম্বর তাঁকে আটক করা হয়। তাঁর দুই ঘনিষ্ঠ সহযোগীকেও পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে।ুীদুলারচন্দ যাদব গত বৃহস্পতিবার মোকামায় জন সূরজ পার্টির প্রার্থী পীযূষ প্রিয়দর্শীর সঙ্গে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে গিয়েছিলেন। সেই ভরা সভাতেই মৃত্যু হয় তাঁর। প্রথমে গুলিবিদ্ধ হওয়ার কথা শোনা গেলেও ময়নাতদন্তে প্রকাশগুলি নয়, গুরুতর শারীরিক আঘাত, বিশেষত পাঁজরের হাড় ভেঙে যাওয়া ও ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হওয়াতেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।দুলারচন্দ অনেক দিন আরজেডি-র প্রভাবশালী নেতা ছিলেন। লালু প্রসাদ যাদবের ঘনিষ্ঠ হিসেবেও পরিচিত। পরে PKর জন সূরজ পার্টিতে যোগ দেন।প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, সভার মাঝেই দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধেছিল। সেই বিশৃঙ্খলার মধ্যেই ঘটে এই মৃত্যুর ঘটনা। এবং সে সময় ঘটনাস্থলেই ছিলেন জেডিইউ প্রার্থী অনন্ত সিং।গ্রেফতারের পর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে পীযূষ প্রিয়দর্শী বলেন, পুলিশ ঠিক কাজ করেছে। তবে এই পদক্ষেপ আরও আগে হওয়া দরকার ছিল। এটা কোনো হঠাৎ ঘটনা নয়। এফআইআর হওয়ার পরই গ্রেফতার হওয়া উচিত ছিল। দেরিতে হলেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, এখন দেখার তদন্ত কতদূর এগোয়।অন্য দিকে গ্রেফতারির আগে অনন্ত সিং দাবি করেন, তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে। প্রাক্তন সাংসদ সূরজভান সিংকে দায়ী করেন তিনি। উল্লেখ্য, সূরজভান সিংয়ের স্ত্রী বীণা দেবী এবার আরজেডি-র প্রার্থী।ঘটনার গুরুত্ব দেখে ইতিমধ্যেই নড়েচড়ে বসেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। জেলা নির্বাচন আধিকারিকের কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আদর্শ আচরণবিধি কড়াভাবে বজায় রাখতে হবে এবং রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেন বিন্দুমাত্র নষ্ট না হয়।বিহারের ভোটযুদ্ধ এখনও শুরুই হয়নি, আর তার আগেই রক্তঝরা সংঘর্ষে জর্জরিত রাজনৈতিক ময়দান। আগামীর দিনগুলো যে আরও উত্তপ্ত হতে চলেছে, তা বলাই বাহুল্য।

নভেম্বর ০২, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal